রংপুরে এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দশ একর জমিতে ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে এই পার্ক।
সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খলিশাকুড়ি এলাকায় হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই কারণ তারই প্রচেষ্টায় এই পার্ক হচ্ছে। তিনি রংপুরের উন্নয়নে সদা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন। তার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে সেটা লক্ষ্য করে থাকি।
‘আজকের বাংলাদেশে ডিজিটাল ও আইসিটির যে প্রসার তা গত ১২-১৪ বছরে আমরা দেখেছি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নত অবস্থানে নিয়ে গেছেন।’
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘রংপুরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসংখ্য উপহার দিয়েছেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ ও সিটি করপোরেশন দিয়েছেন।
‘সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুরের সন্তান হিসেবে এখানকার সামগ্রিক উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তারই প্রতিশ্রুতি ছিল, রংপুরের তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি অত্যাধুনিক পার্ক নির্মাণ করে দেবেন। আজ সেটি বাস্তবায়নের পথে কাজ শুরু করেছি।’
পলক আরও বলেন, ‘আমরা বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার নামে নামকরণ করে কাজ শুরু করছি। আশা করছি দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। প্রতি বছর এখানে ৩ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারব।
‘এই অঞ্চলের তরুণদের যেন ঢাকামুখী, বিদেশমুখী হতে না হয় সে জন্য কাজ করছি। আশা করছি, তরুণরা এই সুযোগ কাজে লাগাবে।’
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ ও জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইটেক পার্কের তিনটি ভবনের মধ্যে একটি হবে স্টিল স্ট্রাকচারে তৈরি সাত তলা ভবন। বাকি দুটি তিন তলা ভবনে ক্যানটিন, অ্যাম্ফিথিয়েটার ও ডরমেটরি থাকবে।
২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল জেলা পর্যায়ে ১২টি হাইটেক পার্ক প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। তারই একটি রংপুরের এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্ক।