যে কোনো মূল্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান।
দলের শীর্ষ নেতারা ভোটের ফল ঘরে আনতে তাকে সরে যেতে বললেও অনড় তিনি। তবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবল তাকে নির্দেশ দেন।
নিউজবাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন ইমরান।
তিনি বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে ফোন করে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ডাকেন। মঙ্গলবার সেখানে আমি ও আমার বোন সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা উপস্থিত হই। আমাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া কথা বলেন।
‘উনারা আমাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কথা বলেছেন। আমি আমার অবস্থানের কথা জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আমি আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করব কি না তা প্রধানমন্ত্রীর ফোনের ওপর নির্ভর করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী না বললে আমি কারো কথায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করব না।’
মঙ্গলবার বৈঠক শেষে বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাসুদ পারভেজ খান ইমরান তার প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২৬ মে নির্বাচন কমিশনের পূর্বনির্ধারিত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ দিন ইমরান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।’
তবে ইমরান জানান, তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেননি, ভেবে দেখার কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমার কী কথা হয়েছে, আমার অবস্থান কী ছিল এসব বিষয় আমি সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরব।’
ইমরান কুমিল্লা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত আফজল খানের ছেলে। তিনি কুমিল্লা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য।
তার বোন আঞ্জুম সুলতানা সীমা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত।
একই পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সীমা ও ইমরানও। দল তাদের মনোনয়ন না দেয়ায় অসন্তোষ তৈরি হয়। এরপর সীমা মনোনয়নপত্র জমা না দিলেও শেষ দিন বিকেল ৪টায় ইমরান স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন।