বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জরুরি বিভাগ থেকে রোগী বের করে দেয়ার অভিযোগ

  •    
  • ২৬ মে, ২০২২ ১১:১৫

চিকিৎসক রুবিনা বলেন, ‘রোগী তাড়াহুড়া করায় তাকে হাসপাতালের সহকারী মেডিক্যাল অফিসার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। কারণ তিনিই প্রেশার মাপেন। আর সাংবাদিকের বিষয়টা হলো, তখন আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই ওভাবে বলেছি।’

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জরুরি বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জরুরি বিভাগের ওই চিকিৎসক রুবিনা আক্তার বলছেন, তিনি রোগীকে বের করে দেননি। প্রেশার মাপতে চাওয়ায় সহকারী মেডিক্যাল অফিসার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।

চিকিৎসা নিতে যাওয়া মুন্সী মহাসীন আলী নামের ওই রোগীর বাড়ি জীবননগর পৌর এলাকার হাই স্কুলপাড়ায়।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুকে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যাই। সেখানে ডাক্তার রুবিনা আক্তার ছিলেন। ব্যথা বাড়তে থাকায় আমি দ্রুত চিকিৎসা দিতে বলি। তিনি তা না শুনে ওষুধ কোম্পানির এক রিপ্রেজেন্টেটিভের সঙ্গে গল্পে ব্যস্ত ছিলেন।

‘দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর প্রেশার মাপার অনুরোধ করলে তিনি বলেন, প্রেশার মাপা তার কাজ না। যিনি প্রেশার মাপবেন তিনি বাইরে গেছেন। তিনি এসে প্রেশার মাপবেন।’

মহাসীন আরও বলেন, “আমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমি তাকে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে অনুরোধ করি। তখন তিনি আমার ওপর রেগে যান। খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। আমি তার নাম জানতে চাইলে বলেন, ‘নাম শুনে কী করবি? এমপি টগরকে বলবি? বলগে যা। বলে যদি কিছু করতে পারিস করগে যা। এখান থেকে বের হয়ে যা'।”

পরে সেখান থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন মহাসীন।

তিনি বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে চিকিৎসাসেবা পাওয়া আমার অধিকার। সেখান থেকে আমাকে বের করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেব।’

রোগীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ শুনে চিকিৎসক রুবিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু।

বাবু বলেন, “আমি ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে আপনি এভাবে প্রশ্ন বা জেরা করতে পারেন না। আপনার যা ইচ্ছা তা লিখতে পারেন।’ এই কথা বলে তিনি আমার কল কেটে দেন। ওই চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে জীবননগর প্রেস ক্লাব থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ পাঠানো হবে।”

এসব অভিযোগের বিষয়ে রুবিনা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোগী তাড়াহুড়া করায় তাকে হাসপাতালের সহকারী মেডিক্যাল অফিসার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। কারণ তিনিই প্রেশার মাপেন। আর সাংবাদিকের বিষয়টা হলো, তখন আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই ওভাবে বলেছি।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি অফিসের জরুরি কাজে ঢাকায় আছি। ফিরে এসে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর