বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সঠিক ডেটা না পেলে পরিকল্পনা নষ্ট হয়: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ২৫ মে, ২০২২ ২১:৫৭

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রকৃত সংখ্যা জানতে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল জনশুমারি হতে যাচ্ছে। সবাই তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করলে সঠিক সংখ্যাটা আসবে না। সঠিক পরিকল্পনার জন্যই জনসংখ্যার সঠিক তথ্য তুলে আনতে হবে।’

ডেটা বা তথ্য-উপাত্ত সঠিক না হলে কোনো কিছু সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। আর পরিসংখ্যান ঠিক না থাকলে অর্থনীতিও এগিয়ে নেয়া যায় না, পরিকল্পনা নষ্ট হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন তথ্যের উল্লেখ করে জনশুমারির মাধ্যমে জনসংখ্যার সঠিক তথ্য তুলে আনতে বলেছেন।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২- এর মাস্টার ট্রেইনারদের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন দেশব্যাপী জনশুমারি অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় চার লাখ তথ্য সংগ্রহকারী ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। এ জন্য মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রকৃত সংখ্যা জানতে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল জনশুমারি হতে যাচ্ছে। এতে তথ্য দিয়ে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। নইলে সঠিক সংখ্যা আসবে না। কেউ যেন ভুল তথ্য দিয়ে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য নষ্ট না করে সেদিকে নজর দিতে হবে। সঠিক পরিকল্পনার জন্যই জনসংখ্যার সঠিক তথ্য তুলে আনতে হবে।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সব রেমিট্যান্স বৈধ পথে দেশে ‌আনতে সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে রেমিট্যান্স বেড়েছে। প্রণোদনা শুরুর আগে রেমিট্যান্স ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার। গত তিন বছরে তা প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ২১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।’

ভিডিও বার্তায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, করোনার কারণে দেড় বছর দেরিতে শুমারি শুরু করতে হচ্ছে। প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে শুমারি হচ্ছে। গণনাকারীদের জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ৪ লাখ ট্যাব সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন। জনশুমারি পরিচালিত হবে রিয়েল টাইমিংয়ের মাধ্যমে। তথ্য সংগ্রহকারীরা যে তথ্য সংগ্রহ করবেন তা মুহূর্তে বিবিএসের মাস্টার কম্পিউটারে চলে আসবে। এতে শুমারি হবে আরও সহজ, দ্রুত ও নির্ভুল।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগে আদম শুমারি নাম থাকলেও পরিসংখ্যান আইন-২০১৩ অনুযায়ী তা ‘জনশুমারি’ নাম পায়। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম শুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। এবারের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হবে ১৫ জুন। ১৫ থেকে ২১ জুন সময়কে ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে এবং ১৪ জুন রাত ১২টাকে (শূন্য মহূর্ত, ১৫ জুন ) বা ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দেশের প্রতিটি গৃহ, খানা ও ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর