বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিয়ানমারমুখী হোন: বাংলাদেশ

  •    
  • ২৫ মে, ২০২২ ২০:০৮

আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ আশা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে রাখাইনে তাদের তৎপরতা বাড়াবে। প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গা জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে মিয়ানমারে তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন তিনি।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সফররত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ আশা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে রাখাইনে তাদের তৎপরতা বাড়াবে। প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গা জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য ইউএনএইচসিআরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পাঠক্রমের আওতায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য সে দেশের ভাষায় অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রবর্তন করা হয়েছে। তাদের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। রোহিঙ্গাদের জীবিকার সুযোগ তৈরি ও স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলো প্রত্যাবর্তনের পর মিয়ানমারের সমাজে তাদের পুনর্মিলনকে সহজতর করবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ইউএনএইচসিআর হাইকমিশনারকে পরামর্শ দেন।

জেনারেল ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি মন্ত্রীকে জানান, ইউএনএইচসিআর এ বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ বিষয়ে তিনি আরও জোর দেবেন।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউএনএইচসিআর একই পথের সঙ্গী।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিপুলসংখ্যক নির্যাতিত ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা পুরো অঞ্চলে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

‘রোহিঙ্গারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে হতাশ হয়ে পড়ছে। তারা মাদক ও মানব পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যার দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।’

মন্ত্রী স্থানীয় জনগণের কল্যাণে প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

হাইকমিশনার জেনারেল ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও ভাসানচর পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি জানান, যেসব রোহিঙ্গার সঙ্গে তার দেখা হয়েছে তারা দেশে ফিরে যাওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, ‘রাখাইনে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। এ ছাড়া ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কক্সবাজারে স্থানীয় জনগণের সুবিধার্থে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিচ্ছে।’

ভাসানচরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বীপে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে ভাসানচরে জাতিসংঘের পূর্ণ সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেন।

হাইকমিশনার গ্র্যান্ডি বলেন, ‘ভাসানচর প্রকল্প যে টেকসই তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ এবং এ বিষয়ে সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি ২১ মে বাংলাদেশে আসেন। তিনি ২৩ মে কক্সবাজার ও ২৪ মে ভাসানচর পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশে এটি তার পঞ্চম সফর।

এ বিভাগের আরো খবর