টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় প্রেমিকের ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস দেয়া হয়েছে ৮ জনকে।
রায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সাউদ হাসান বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩৩ বছর বয়সী দণ্ডিত ওই ব্যক্তির নাম মাধব চন্দ্র পাল। তার বাড়ি টাঙ্গাইল পৌরসভার এনায়েতপুর এলাকায়।
এজাহারে বলা হয়, মাধব পালের সঙ্গে প্রতিবেশী সত্যরঞ্জন পালের মেয়ে ও সদর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী বিথী রানী পালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে মাধব তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ২০১৫ সালের ১৫ মে বিথী ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসার পর সুস্থ্য হয়ে উঠলে এলাকায় সালিশ বৈঠকে মাধবের সঙ্গে তার বিয়ের দিন ঠিক হয়।
তবে ২০১৫ সালের ১৯ মে সকালে মাধব ফোনে বিথীকে জানায় চাপে পড়ে তিনি বিয়েতে রাজি হয়েছেন। বিয়ের পর বিথীকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। তিনি বিথীকে আত্মহত্যা করতে বলেন। এই ফোন পাওয়ার পর বিথী কান্নাকাটি শুরু করে এবং নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনার পর বিথীর বাবা বাদী হয়ে ওই দিনই মাধব, তার বাবা সুশীল পাল, মা আলো রানী পালসহ নয়জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ বাদীকে আইনি সহায়তা দেন।
রায় ঘোষণার পর মাধব পালকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।