বিদ্যুৎ ও জ্বালানির টেকসই অবকাঠামো বিনির্মাণে দরকার সমন্বিত মহাপরিকল্পনা। জ্বালানির একাধিক বিকল্প উৎস থাকা দরকার। ফুয়েল মিক্সে প্রচলিত জ্বালানির সঙ্গে আগামীর সম্ভাব্য জ্বালানির প্রতিফলন থাকাও বাঞ্ছনীয়।
বুধবার জাইকার স্টাডি টিমের সঙ্গে আলোচনাকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এসব কথা বলেন। সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনার সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় দক্ষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জ্বালানিসম্পদের চাহিদা ও সরবরাহের সর্বোত্তম সমন্বয় থাকতে হবে। একই সঙ্গে আগামীর সম্ভাব্য সমস্যা এবং তার সমাধান থাকা জরুরি।
‘ফুয়েল মিক্সে প্রচলিত জ্বালানির সঙ্গে আগামীর সম্ভাব্য জ্বালানির প্রতিফলন থাকা বাঞ্ছনীয়। বিদ্যুৎ বা গ্যাস ব্যবহারের অপরচুনিটি কস্ট এবং কৃষি বা শিল্পে ব্যবহারের প্যাটার্নও এখানে থাকতে পারে।’
দ্য ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি ইকনোমিকস, জাপান (আইইইজে) প্রণীতব্য মহাপরিকল্পনার স্টাডি টিমের প্রধান ইচিরো কুতানি সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের অক্টোবর নাগাদ মহাপরিকল্পনার খসড়া হবে। নভেম্বর নাগাদ অংশীজনদের সঙ্গে সভা করে তা চূড়ান্ত করা হবে।’
চাহিদার পূর্বাভাস, চাহিদা ও সরবরাহের সমন্বয়, রেফারেন্স দৃশ্যকল্প, নেট-শূন্য দৃশ্যকল্প, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দৃশ্যকল্প, জ্বালানি সংরক্ষণ, সাশ্রয়ী নবায়ণযোগ্য জ্বালনি, জ্বালানির বৈচিত্র্যকরণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘যানবাহন বা ট্রেন বিদ্যুতে চলাচল এবং গ্রিন হাইড্রোজেন নিয়েও মহাপরিকল্পনায় সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। ইন্ডাকশন কুকার বা সোলার সেচপাম্প নিয়েও কাজ করা যেতে পারে। ক্লিন এনার্জি পোর্টফোলিও উত্তরোত্তর বাড়ানোর প্রতিকল্প যেন থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করতে চাই। জ্বালানির একাধিক বিকল্প উৎস থাকা বাঞ্ছনীয়। বৈচিত্র্যময় জ্বালানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে বিদ্যুৎ-জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিয়েও আমরা কাজ করছি।
‘বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল এবং টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গবেষণা ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি জাইকার সঙ্গে কাজ করলে আরও বাস্তবসম্মত ফল পাওয়া যাবে।’
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে জাইকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তোশিয়ুকি কোবাইয়াশ ও জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি তারো কাৎসোরাই উপস্থিত ছিলেন।