বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৫ কিলোমিটার বাঁধের ৪৬ পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ

  •    
  • ২৫ মে, ২০২২ ১৩:১৩

বগুড়া পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যেহেতু এবার উজানের ঢল আগে থেকে নামছে; তাই বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। প্রাথমিকভাবে বাঁধের ৪৬টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।’

বগুড়ায় যমুনা নদীর তীর রক্ষা ৪৫ কিলোমিটার বাঁধের ৪৬টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বগুড়া পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার বন্যা হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা প্রয়োজন।

চিহ্নিত হলেও বাঁধের এসব ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে সংস্কারের কাজ আপাতত শুরু হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।

পাউবো জানিয়েছে, বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলা মিলে যমুনা নদীর ডান তীরে ৪৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। চলতি বছরে বাঁধের অন্তত ৪৬টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে সারিয়াকান্দি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের মধ্যে সারিয়াকান্দি এলাকার অংশ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৭ কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিঁপূর্ণ। এছাড়া কর্নিবাড়ী ইউনিয়নে প্রায় ২ কিলোমিটার এবং সদর ইউনিয়নের তিতপরল গ্রামে ৪০০ মিটার বাঁধে ঝুঁকি রয়েছে। এগুলোতে নিয়মিত কাজ করতে হয়।’

কামালপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রতিবার বন্যার ঝুঁকিতে বসবাস করেন বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান রাছেদুজ্জামান রাছেল। নিউজবাংলাকে তিনি জানান, তার এলাকার তিনটি ওয়ার্ডের রহদহ, কামালপুর, ইছামারা, গোদাখালি, দড়িপাড়া ও হাওরাখালি এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বন্যা হলে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ হয়ে পড়ে।

পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছর নানা কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে। বাঁধের কাছে পুকুর বা ডোবা থাকাকে ঝুঁকি হিসেবে দেখা হয়। কারণ বর্ষার সময় মাটি ধস নেমে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।

‘অপরিদকে ইঁদুরের গর্ত বাঁধের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। অনেকে বাঁধের ধারে অস্থায়ী ঘর করে থাকেন। তাদের গোয়াল ঘর, খড়ের পালা থাকার কারণে সেখানে ইঁদুরের উৎপাত বৃদ্ধি পায়। বর্ষার সময় বাঁধের নিচে এই ইঁদুরের গর্ত মুহুর্তে ধস নামিয়ে দিতে পারে।’

পাউবোর এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি এখনও স্থিতিশীল। বিপৎসীমার অন্তত দেড় মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

এবার বন্যা হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এবার উজানের ঢল আগে থেকে নামছে; তাই এবার বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে বাঁধের ৪৬টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

চিহ্নিত হলেও এসব স্থানে সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের কাছে এই মুহুর্তে কাজের জন্য বাজেট নেই। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর