চুয়াডাঙ্গায় অনার্সপড়ুয়া এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মৃতের বাবার দাবি, প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দেন ২৪ বছর বয়সী ছেলে ফজলে রাব্বি ওরফে সোলাইমান।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতালপাড়ায় মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ফজলে রাব্বি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের টুলু মিয়ার ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সনো সেন্টারে এক্স-রে বিভাগেও কাজ করতেন তিনি।
বাবা টুলু মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি চাকরির সুবাদে পৌর এলাকার চক্ষু হাসপাতালের পেছনে ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকি। আমার তিন ছেলের মধ্যে ফজলে রাব্বি ছিল সবার ছোট। গতকাল রাত ২টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী আমাদের ফোন দিয়ে জানায়, রাব্বি গলায় ফাঁস দিয়েছে। তখন আমরা গিয়ে দেখি তার ঘরের দরজা বন্ধ।
‘পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তার ভাষ্য, ‘ঘটনার পর জানতে পারি প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিও কলে ছিল রাব্বি। তাকে ভিডিও কলে রেখেই রাব্বি গলায় ফাঁস দেয়।’
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহরাব হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে নেয়ার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।’
ওসি মহসীন বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।’