বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইবি শিক্ষকের স্ত্রীকে হত্যা, দাবি পরিবারের

  •    
  • ২৫ মে, ২০২২ ০৯:৫৭

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি ছাব্বিরুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা। আমরা গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেছি। এরপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।’

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের স্ত্রী নূরজাহান পারভীনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার, তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী নজরুল ইসলাম।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে নূরজাহান পারভীন নামের ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের পরিবারে ১৩ বছরের মেয়ে ও ৪ বছরের ছেলে আছে।

নূরজাহান পারভীনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে খবর পান নূরজাহানের কিছু একটা হয়েছে। রাত ১০টার দিকে বাসায় গিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ পান। দরজা ভেঙে দেখতে পান সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না টাঙানো। নিচে পড়ে আছে নূরজাহানের নিথর দেহ। তবে কক্ষের পেছনের দিকের গ্রিলের দরজা বন্ধ ছিল কি না, তা বলতে পারছেন না।

তিনি অভিযোগ করেন, নূরজাহানের শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বোনকে বিয়ের পর থেকেই মারধর করতেন নজরুল ইসলাম। কলহের জেরে নূরজাহানকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মামলা হবে কি না জানতে চাইলে বুধবার সকালে নিউজবাংলাকে ওই নারীর ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

তবে শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নূরজাহান আত্মহত্যা করেছেন।’

স্বজনরা জানান, নজরুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ১৫ বছর আগে নূরজাহানের বিয়ে হয়। কুষ্টিয়ার কমলাপুর এলাকায় পুলিশ লাইনসের পেছনে নিজেদের দোতলা বাড়ির নিচতলায় থাকতেন তারা। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। মাঝেমধ্যে তা চরম আকার ধারণ করত।

ঝগড়া-বিবাদের কথা স্বীকার করে নজরুল বলেন, ‘এ কারণে সে আত্মহত্যা করে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে, এটা ভাবতে পারছি না।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘তিন সদস্যের একটি বোর্ড ময়নাতদন্ত করেছে। ওই নারীর শরীরে আঘাতের কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিস্তারিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে।’

পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টেও আঘাতের কথা উল্লেখ রয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি ছাব্বিরুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা। আমরা গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেছি। এরপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর