কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। তিনি আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের বড় ছেলে।
আগামী ২৬ জুনের মধ্যেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন তিনি।
আফজাল খানের মেয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আনজুম সুলতানা সীমা ও ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
এর আগে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওই সময় নাছিমসহ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর্ফানুল হক বিফাত। একই পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সিমা ও ইমরানও।
দল তাদের মনোনয়ন না দেয়ায় অসন্তোষ তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মঙ্গলবার ঢাকায় ডেকে নেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সোমবার ফোন করে তাদের ঢাকায় আসতে বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে দলের যুগ্ম-সাধারণ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগে প্রতিযোগিতা থাকে। দিনশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে ভুল করে না। আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তাই হতে যাচ্ছে।
‘কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবার বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল খানের পরিবার। তারা অতীতেও দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেও তাই করতে যাচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আফজাল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান তার প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
‘আগামী ২৬ মে নির্বাচন কমিশনের পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ দিন তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন ইমরান।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে নাছিম বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দৃষ্টান্তকারী নির্বাচন হবে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন।