যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক মো. হায়াতুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে তার বিরুদ্ধে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করার অভিযোগ ওঠায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রেজিস্ট্রার আহসান হাবীবের সই করা এক চিঠিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাজমুল হাসানকে কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া সদস্য করা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক এ এস এম মুজাহিদুল হক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমিনুল হক।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করার কথা উল্লেখ করলেও মূল অভিযোগের বিষয়টি পরিষ্কার করেনি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চাকরি প্রার্থীর কাছে ফোনে অর্থ দাবি করেছিলেন হায়াতুজ্জামান।
Caption
সেই সূত্রেই জানা গেছে, সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটা অপারেটরের নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবহারিক ও ভাইবা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় চাকরি প্রার্থীদের ফোন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে হঠাৎ একজন চাকরি প্রার্থীকে ফোনে কথা বলতে দেখেন একজন পরীক্ষা পরিদর্শক। তিনি ফোনটি নিয়ে নাম্বার যাচাই করে দেখেন ফোনের অপর প্রান্তে রয়েছেন হায়াতুজ্জামান।
এরপর পরীক্ষা পরিদর্শকরা প্রার্থীর ফোনের কল রেকর্ডটি উদ্ধার করেন। তখনই ওই প্রার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে হায়াতুজ্জামানকে ফোন করা হলে তিনি প্রথমে এ নিয়ে রিপোর্ট না করার অনুরোধ করেন। পরে কিছু বলবেন না জানিয়ে সংযোগ কেটে দেন।
এই বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ফোনের রেকর্ডিং ও প্রার্থীর জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় এখানে প্রার্থীর সঙ্গে কর্মকর্তার একটা সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।