ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। পরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্রে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে তাকে দিয়ে করানো হয় যৌন ব্যবসা।
কিছুদিন পর দেশে ফিরে বিয়ে করেন দুজন। পরে আবারও তরুণীকে কৌশলে ভারতে পাচার করে দেয়া হয়। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কিছুদিন পর দেশে পালিয়ে এসে পাঁচ যুবকের নামে মামলা করেন তরুণী।
হবিগঞ্জে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান র্যাব-৯-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট নাহিদ হাসান।
তিনি জানান, মামলার পর পুলিশ লালমনিরহাট থেকে তিনজনকে এবং র্যাব হবিগঞ্জ থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার সকালে প্রধান আসামি সোহেল মিয়াকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। সোহেলের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বেতাপুর গ্রামে।
লেফটেন্যান্ট নাহিদ হাসান জানান, সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ৩ বছর আগে ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ডেমরা গ্রামের এক তরুণীর। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক সোহেল গত বছরের মার্চ মাসে সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যান ওই তরুণীকে। এ সময় সেখানে তাকে আটকে রেখে যৌন ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে সোহেল ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। পরে তরুণীকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে কৌশলে ভারতে পাচার করে দেন সোহেল। পাচারের আগে তাকে ধর্ষণ করেন সোহেল ও চার সহযোগী। ভারতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৫ মে দেশে পালিয়ে আসেন তরুণী।
২১ মে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় পাঁচ যুবকের নামে পাচার, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন তরুণী।