চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তাতে অভিযোগ করেছেন, একটি হাটের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের সময় তার বসতঘর ভাঙা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ইউএনও শরিফ আহম্মেদ ও এসিল্যান্ড মিথিলা দাসসহ পাঁচজনের নামে মঙ্গলবার আদালতে মামলার এই আবেদন করেন নাচোলের কসবা উজিরপুর এলাকার আব্দুর রশীদ।
বাদীর আইনজীবী আব্দুর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, গত ১০ মে বেলা আড়াইটার দিকে কসবা উজিরপুর হাটের ৩০-৪০টি দোকান উচ্ছেদ করার সময় তার দুটি পাকা ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এতে তার ১৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সে সময় তার বাড়ি খেকে ৫০ হাজার টাকাসহ ১২টি জিনিসপত্র লুট হয়।
বাদী অভিযোগ করেন, হাটের জমির সঙ্গে তার বসতবাড়ির জমির দাগের কোনো মিল নেই। তার বসতবাড়ি আরএস ১৬৬, যা ৬০ বছরের বেশি সময় থেকে তিনি ভোগদখল করে আসছেন।
নাচোলের ইউএনও শরিফ বলেন, ‘ওটা সরকারি ইজারা দেয়া হাট। ওই হাটে অবৈধ স্থাপনা ছিল। বারবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উচ্ছেদ করা হয়েছে।
‘ওখানে কারও বাড়িঘর ছিল না। তারা কেন এ কথা বলছে আমি জানি না। আর ওই জমি হাটের শতভাগ খাস খতিয়ানের জায়গা। আমি যদি অপরাধ করে থাকি, আদালত আমাকে শান্তি দেবে। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শাস্তি দিক। কারও বসতবাড়ি নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড ভেঙে দেবে, লুটপাট করবে এমন অভিযোগ দুঃখজনক। এতে সরকারি দায়িত্ব পালনে বিব্রতবোধ করবে।’
বাদীর আইনজীবী আব্দুর রহমান জানান, জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতের বিচারক হুমায়ন কবীর মামলাটি আমলে নিয়ে নাচোল থানার ওসিকে তদন্ত করে ১৫ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।