বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুলমাঠে ইটের খোয়া, পড়ার সময় কানে তালা

  •    
  • ২৪ মে, ২০২২ ১৭:০১

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া দেয়ার কোন বিধান নেই। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এক ঠিকাদারের কাছে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির মাঠজুড়ে রাখা হয়েছে ইট, খোয়াসহ নানা ধরণের নির্মাণ সামগ্রী। আর মেশিন দিয়ে ইট ভাঙার শব্দে পাঠগ্রহণে প্রতিদিনই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. কামাল হোসেন দাবি করেছেন, উপজেলার নাগরা-বান্ধাবাড়ি-রাশমীল সড়কের নির্মাণ সামগ্রী রাখতে বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি ৭ লাখ টাকায় ভাড়া দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদার মো. জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে এই টাকা গ্রহণ করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।

ক্ষোভ প্রকাশ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘মাঠটিতে জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয় ও বান্ধাবাড়ি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- দুই স্কুলের শিক্ষার্থীরাই খেলাধুলা করে। কিন্তু নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে তাদের খেলাধুলা এখন বন্ধ। আর বিদ্যালয় চলার সময়ে মেশিন দিয়ে ইট ভাঙার শব্দে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়ও সমস্যা হচ্ছে।’

খেলাধুলা ও পড়াশোনায় সমস্যা হওয়ার কথা জানিয়েছে বান্ধাবাড়ি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থীও। এ স্কুলের ছাত্র-অভিভাবক সবুজ ঘরামী বলেন, ‘আমরাও শুনেছি, ঠিকাদারের কাছ থেকে জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হান্নান মোল্লা ও প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রশিদ ৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। এতে দুই স্কুলেরই শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘যে মাঠটি ভাড়া দেয়া হয়েছে সেটি আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে না। মাঠটি আমাদের হলেও ব্যবহার করে বান্ধাবাড়ি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।’

তবে ভাড়া হিসেবে সাত লাখ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, নির্মাণ সামগ্রী রাখতে ৫০ হাজার টাকা ও একটি সিসি টিভি মনিটরের বিনিময়ে ঠিকাদার জসিমউদ্দীনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘৭ লাখ টাকা নেয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন।’

সাত লাখ টাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করেন ঠিকাদার জসিমউদ্দীনও। তিনি বলেন, ‘আমি ৩ মাসের জন্য মাঠটি ভাড়া নিয়েছি। বিনিময়ে বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার টাকা ও ১টি সিসি টিভি মনিটর দিতে হবে।’

তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া দেয়ার কোন বিধান নেই। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর