ছাত্রলীগের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে ফের ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হয়। সে সময় আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে প্রায় ২০ মিনিট ধরে এই সংঘর্ষ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে হামলায় আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ছাত্রদল দোয়েল চত্বর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নিয়ে থাকা ছাত্রলীগ তাদের বাধা দেয়। সেখানে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।
এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিলে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে যাচ্ছিল বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলায় অংশ নিলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সেখানে সংঘর্ষ ছাড়াও এ সময় প্রায় পুরো ক্যাম্পাসেই ছাত্রলীগ শোডাউন করছিল।
তারা এসব শোডাউন থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলকে প্রতিহতের ঘোষণা দেয়।
সংঘর্ষের বিষয়ে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে চাইলে তারা বাধা দেয়, এরপর আমরা প্রতিরোধ করি।’
হাতে ইট, লাঠি থাকার বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের বাধ্য হয়েই নিতে হয়েছে।’
অবশ্য পরে তিনি দাবি করেন, সেসব ছাত্রলীগের কাছ থেকে তারা ছিনিয়ে নিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘দোয়েল চত্বরে আমাদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আসবে শুনে আমরা সেখানে যাই। আর তখনই সেখানে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। এতে আমাদের ১০ জন আহত হয়।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদল ক্যাম্পাসে এসে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ তাদের প্রতিহত করে, ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
‘ছাত্রলীগ চায়, ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ণ থাকুক। কিন্তু ছাত্রদল ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগ জীবিত থাকতে তাদের এই আশা কখনো পূরণ হতে দেবে না।’
ছাত্রলীগের বেসরকারিবিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান বলেন, ‘ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বক্তব্যের জেরে সাধারণ ছাত্ররা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। আমরা মনে করি, এখানে ছাত্রলীগের সাথে সাধারণ ছাত্ররাও আছে। ছাত্রদলের এই ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির যে পাঁয়তারা, সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেটি রুখে দেবে।’