কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
মঙ্গলবার রায়ের বিষয়টি জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল।
২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আদালত খালেদা জিয়ার জামিন দেয়নি। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। একই বছরের ৬ মার্চ এ মামলায় হাইকোর্ট রুলসহ তাকে ছয় মাসের জামিন দেন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
কায়সার কামাল বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পেলে সব মামলায় তিনি খালাস পেতেন। আর জামিন দিলেও বিএনপি চেয়ারপারসন তার অপব্যবহার করেন না। এ মামলাই তার প্রমাণ। এ মামলায় আগে অন্তর্বতীকালীন জামিন পেয়েছিলেন তিনি। সেটার অপব্যবহার করেননি। এই মামলায় কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, রাষ্ট্রের কাছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। সোমবার এই রুলের জবাব গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। অর্থাৎ তার জামিন এখন স্থায়ী হয়েছে।’
বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রামে একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আইকন পরিবহনের ওই বাসটি কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছিল।
ওই আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে সাতজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এর পরদিন অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) নূরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।