বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শায়েস্তাগঞ্জে আতঙ্ক এক কিলোমিটারে

  •    
  • ২৪ মে, ২০২২ ১০:২৮

হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘সংস্কারকাজের পরপরই বৃষ্টি হওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহাসড়কের এ অংশটি মেরামত করে দেয়া হবে।’

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এক কিলোমিটারজুড়ে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘটছে দুর্ঘটনা। গেল ঈদের পর থেকে গত ২০ দিনে ওই স্থানেই অন্তত ১৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সড়কের যাত্রী ও পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) জানিয়েছে, ঈদের আগে সড়কের ওই অংশে সংস্কার করা হয়। এ সময় বেশি পরিমাণ বিটুমিন দেয়ায় পিচ্ছিল হয়ে পড়ে এক কিলোমিটার অংশ। তাই পুনরায় এটি সংস্কারের কথা জানিয়েছেন তারা।

হবিগঞ্জ সওজ থেকে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর অংশে আগে বেশকিছু খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছিল। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই অংশের সংস্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি সংস্কারকাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। সংস্কারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাথরকুচি ও বালি ব্যবহার করা হয়নি। এ ছাড়া অতিরিক্ত মাত্রায় বিটুমিন পড়ায় বৃষ্টি হলেই সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।

পরিবহনচালকরা জানিয়েছেন, মহাসড়কের নুরপুর অংশে আসলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখতে কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখা একেবারেই সম্ভব হয় না। এ কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

ট্রাকচালক শিপন মিয়া বলেন, ‘সড়ক মেরামতের সময় পরিমাণমতো পাথর ও বালু না দিয়ে বিটুমিন বেশি দেয়ায় বেশি রোদে তা গলে যায়। এতে গাড়ির চাকা স্লিপ করে। আবার বৃষ্টি হলেও সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। এ সময় গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না।’

বাসচালক আব্দুল হক বলেন, ‘নিয়মিত এই সড়কে গাড়ি চালাই। সড়কের এ অংশে আসলে গতি কমিয়ে অনেক সাবধান হতে হয়। তবে নতুন চালকরা বিষয়টি না জানায় নুরপুর অংশে ঢুকলেই তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।’

তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কের এক কিলোমিটার অংশ দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তিনি।

হাইওয়ে থানা পুলিশের তথ্যে, ঈদের পর সড়কের এ অংশে অন্তত ১২টি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তবে স্থানীয়দের হিসাবে এ সংখ্যা ১৫টিরও বেশি। এ ছাড়া অসংখ্য মোটরসাইকেল আরোহী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এখানে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক যাত্রী।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমদ বলেন, ‘মহাসড়কের নুরপুর অংশটি ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে সড়কের এ অংশ নিয়ে আমরা বেশ উৎকণ্ঠায় রয়েছি। তবে আমরা যতটা পারি পরিবহনচালকদের সতর্ক করার চেষ্টা করছি।’

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম বলেন, ‘এ অংশের সংস্কারের বিষয়ে সওজের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, দ্রুত এটি সংস্কার করা হবে।’

হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘সংস্কারকাজের পরপরই বৃষ্টি হওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহাসড়কের এ অংশটি মেরামত করে দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর