ঢাকার সাভারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাকাডেমিক ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন এবিএম তৌকির তানভীর নামে এক ছাত্র। আর কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছাত্র আবিদ বিন আজাদের ঝুলন্ত মরদেহ।
সোমবার দুপুরে ও বিকেলে এ দুটি ঘটনা ঘটে। দুই ছাত্রের মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
মৃত তৌকির তানভীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আর মৃত আবিদ বিন আজাদ পড়তেন কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষে।
ড্যাফোডিলের পরিচালক (স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, অ্যাকাডেমিক ভবন-১ থেকে সোমবার দুপুর ১টা ৪০ এর দিকে নিচে পড়ে যান তানভীর। তবে ঠিক কোন ফ্লোর থেকে পড়েছেন তা নিশ্চিত নন কেউ। কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে বলে জানিয়েছে।
সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মঈনুল ইসলাম জানান, ওই ভবন থেকে পড়ে যাওয়ার পর তানভীর গুরুতর আহত হন। তাকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই ব্রাদার্স হাউজ নামে একটি ছাত্রাবাস থেকে সোমবার বিকেলে উদ্ধার করা হয় আবিদের ঝুলন্ত দেহ।
বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান আবিদের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়।
রুমমেটদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আবিদ বন্ধুদের সঙ্গে সকালে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে রুমেই ছিলেন। বিকেলে তার এত রুমমেট ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ পায়নি। জানালার ফাঁকা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সবাইকে জানায়।
‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে আবিদের মরদেহ উদ্ধার করে। আবিদের কোনো সমস্যার কথা জানতো না রুমমেটরা। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কীভাবে এ ঘটনা ঘটলো, তাতে আমরাও হতবাক।’