টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, মেয়ের বাবা তার জামাতা প্রান্তকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।সদর থানায় সোমবার সকালে মেয়েটির বাবা হাবিল উদ্দিন মামলা করেন।
এর আগে শহরের দেওলা এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে গৃহবধূ রিনা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় তার স্বামী ওয়াহেদুল ইসলাম প্রান্তকে।
রিনা সরকারি কুমুদিনী কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন।
বাদী হাবিল উদ্দিন জানান, দেড় বছর আগে শহরের বেতকা মুন্সিপাড়া এলাকার সামাল খানের ছেলে প্রান্তর সঙ্গে তার মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ে নির্যাতনের শিকার হন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে ওঠেন প্রান্ত।
তার অভিযোগ, রিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে প্রচার করা হয়, সে আত্মহত্যা করেছে।
তবে প্রান্তর বাবা সামাল খান জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে রিনা আত্মহত্যা করেছেন। তার ছেলে প্রান্তকে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, মেয়ের বাবা জামাতা প্রান্তকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ বেরিয়ে আসবে।
কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, স্বামী গ্রেপ্তার
এ বিভাগের আরো খবর/p>