দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক।মাহমুদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় প্রদীপের স্ত্রী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিছুক্ষণ আগে আদালত শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে দুদকের এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। এতে সাক্ষী করা হয় ২৯ জনকে।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। এই মামলায় প্রদীপের স্ত্রী পলাতক ছিলেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের হদিস পায় দুদক।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। সম্মিলিতভাবে এই দম্পতির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।