বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকিট কালোবাজারি আছে, মেনে নিচ্ছি: রেলমন্ত্রী

  •    
  • ২২ মে, ২০২২ ১৯:১৫

রেলের নানা অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো আছে, এগুলো সম্পূর্ণ আমরা মেনে নিচ্ছি। তবে এগুলো সমাধানের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, কথা বলছি। ইনশাল্লাহ নিকট ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।’

রেলের ই-টিকিট ও টিকিট কালোবাজারি সংক্রান্ত অভিযোগগুলো মন্ত্রী হয়ে আসার পর থেকেই পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

রোববার রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এমন অভিযোগ গুলো আছে, এগুলো সম্পূর্ণ আমরা মেনে নিচ্ছি। তবে নিকট ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টের সিগনালিং এবং টেলিকমিউনিকেশন কাজের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ইয়াসিমা-জিএসই জয়েন্ট ভেঞ্চার মধ্যে ওই চুক্তি করা হয় অনুষ্ঠানে।

জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেলের টিকিট কেনার সিদ্ধান্তের পর ভুয়া পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে টিকিট কেনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় মন্ত্রীর। সেই সঙ্গে অনলাইনে সকাল ৮ টার দিকে সার্ভারে ঢুকেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগের বিষয়টি জানানো হয় তাকে।

এসব বিষয় মন্ত্রী বলেন, ‘ই-টিকিট সংক্রান্ত ও টিকিট কালোবাজারি সংক্রান্ত অভিযোগ আমি মন্ত্রী হয়ে আসার পর থেকেই। এ থেকে রেল মুক্ত হতে পারেনি। এ জন্য আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

রেলে অনলাইন টিকিটিং কার্যক্রমে সিএনএস- বিডিকে বাদ দিয়ে সহজ ডটকমকে যুক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে আমাদের যারা সার্ভিস দিয়েছিল (সিএনএস বিডি), তারা এক্সটেনশনের জন্য দরখাস্ত দিয়েছিল। সেই দরখাস্ত মঞ্জুর না করে আমরা ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে নুতন একজনকে (সহজডটকম) দায়িত্ব দিয়েছি। মাত্র দুই- তিন মাস হয়েছে, আমরা অপেক্ষা করতে চাই, তার সার্ভিসটা কতটুকু আমরা পাই।’

সহজ রেলে যুক্ত হওয়ার পর টিকিট নিয়ে বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সুজন বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো আছে, এগুলো সম্পূর্ণ আমরা মেনে নিচ্ছি। তবে এগুলো সমাধানের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, কথা বলছি। ইনশাল্লাহ নিকট ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।’

রেলের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের যোগাযোগের সাড়া দিচ্ছে না জানালে তিনি বলেন, ‘কোথায় ব্যাতয় হচ্ছেম এ বিষয়টি আমি দেখব।

‘মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব আমারি সঠিক তথ্য গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা। এ কারণে অফিসিয়াল যারা আছেন, তারা নরমালি সামনে আসতে চান না।

‘আমরা সব সময় রেলকে মিডিয়ার সঙ্গে নিতে চাই। মাননীয় সচিব উনি আসার পরে আমাকে বলেছেন যে, আমাদের এখানে যে মিডিয়া সেল আছে সেটা অত্যন্ত দুর্বল। রেলকে আরও বেশি প্রচারে নিতে হবে এবং আমরা চিন্তা করছি, কোনো একটা অরনাইজেশনকে দায়িত্ব দেব কি না, যার দ্বারা রেলের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক রাখবে, প্রচারের ক্ষেত্রে।’

২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলবে

এই তথ্য জানিয়ে রেলমন্ত্রী জানান, আগামী ১ জুন থেকে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রটের মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করবে।

রেলের পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত আমাদের ডাবল লাইন ছিল, সেটি এখন থার্ড লাইন করা হচ্ছে। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ছিল সেটি ডাবল লাইন করা হচ্ছে। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল ডাবল লাইন করার কাজ আমাদের হাতে আছে।

‘যেসব জায়গায় আমাদের ট্রাফিক বেশি এবং সিঙ্গেল লাইন সেসব জায়গায় আমরা এখন ডাবল লাইন করছি। পূর্বাঞ্চলে যে মিটার গেজ লাইন চলছে, সেগুলো আমরা ব্রডগেজে রূপান্তর করছি। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত আমাদের যে রেললাইন সেটিরও কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যশোর পর্যন্ত আমরা ট্রেন চালাতে পারব।’

অনুষ্ঠানে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান রিপ্রেজেন্টেটিভ হায়াকাওয়া ইউহো উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর