বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় আয়মনকে হত্যা, দাবি বাবার

  •    
  • ২২ মে, ২০২২ ১৮:২৫

আয়মনের বাবা নুরনবী বলেন, ‘ওরা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস করে। নারীদের মোবাইল ফোন, টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারা আমাদের কাছে চাঁদা চায়। না দেয়ার কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করে।’

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে চাঁদা দাবির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় জেল থেকে বেরিয়ে আয়মনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন আয়মনের বাবা নুরনবী।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওরা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস করে। নারীদের মোবাইল ফোন, টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তারা আমাদের কাছে চাঁদা চায়। না দেয়ার কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করে।’ তিনি ছেলে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।

বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের হোসেন মার্কেটের সামনে শনিবার রাতের এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

রোববার সকালে নিহত আয়মনের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার তিন যুবকসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন।

দুপুরে তিন আসামিকে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান।

আসামিরা হলেন চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২১ বছরের মো. পাভেল, ২০ বছরের মো. রাকিব ও নিরব।

বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহত আয়মন চৌমুহনী বাজারে প্রধান সড়কের পাশে খোলা জায়গায় জুতা বিক্রি করতেন। তিন মাস আগে স্থানীয় সন্ত্রাসী রাকিব তার কাছে চাঁদা দাবি করে। আয়মন এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অন্য মামলায় ইয়াবাসহ রাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিন মাস জেল খেটে গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পান তিনি।

‘জেল থেকে বেরিয়ে শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে চৌমুহনী বাজারে রাকিব তার দুই সহযোগী পাভেল ও রিমনকে নিয়ে আয়মনের গতিরোধ করেন। ওই সময় রাকিব তার কারাভোগের জন্য আয়মনকে দায়ী করেন।

‘একপর্যায়ে তিনজন মিলে আয়মনকে ছুরি দিয়ে জখম করেন। বাঁচার জন্য আয়মন পাশের একটি ফার্মেসিতে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়েও তারা গলার নিচে চুরি দিয়ে জখম করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। পরে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান তারা। কিছুক্ষণের মধ্যে আটিয়াবাড়ি পুল এলাকা থেকে পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাটিও জব্দ করা হয়।’

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এ ধরনের সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।’

এদিকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দুপুরে আয়মনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে চৌমুহনী পৌরসভার পশ্চিম গণিপুর খালাসী বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর