বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারে পরিকল্পনা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

  •    
  • ২২ মে, ২০২২ ১৭:০২

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের ডেল্টা প্ল্যানের সঙ্গে আজ যে বিশাল সমুদ্ররাশি আমরা পেয়েছি, এই সম্পদটা আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্লু-ইকনোমি ঘোষণা দিয়েছি। অর্থাৎ সমুদ্রসম্পদকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো।’

দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সমুদ্রের বিশাল মৎস্য ও খনিজ সম্পদকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রোববার সকালে ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলের প্রথম সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের ডেল্টা প্ল্যানের সঙ্গে আজকের যে বিশাল সমুদ্ররাশি আমরা পেয়েছি, এই সম্পদটা আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্লু-ইকনোমি ঘোষণা দিয়েছি। অর্থাৎ সুনীল অর্থনীতি, সমুদ্র সম্পদকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো। কিছু কিছু কাজ শুরুও হয়েছে, তবে খুব সীমিত আকারে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সমুদ্রসম্পদ নিয়ে আমরা কতটুকু কী করতে পারি সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা থাকা উচিত। সেখানে তেল-গ্যাস উত্তোলন অর্থাৎ সামুদ্রিক যে সম্পদ যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে, খাদ্যনিরাপত্তায় কাজে লাগতে পারে বিভিন্নভাবে… বিশাল মৎস্য ভান্ডার এখানে।’

বঙ্গোপসাগরের ভৌগোলিক অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই পাশে দুটি মহাসাগর। এক মহাসাগর থেকে আরেকটিতে যেতে গেলে এই বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়েই চলাচল করতে হয়। সেদিক থেকে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব অনেক বেশি। কাজেই এ রকম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ আমরা কীভাবে আমাদের অর্থনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে পারি সেটাও চিন্তা করতে হবে।’

মৎস্যসম্পদ, খনিজসম্পদ ও সমুদ্র গবেষণা বাড়ানোর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরকে দূষণমুক্ত রাখারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এখন দূষণ তো সব দেশেই। সাউথ সিতে এমন অবস্থা যে সেখানে পানি পাওয়া যায় না। শুধু তেলের ফেনা। আমি নিজে সেখানে গিয়ে দেখে এসেছি। হাতে তুলেও নিয়েছিলাম। নেদারল্যান্ডসে থাকতে আমি সেখানে গিয়েছিলাম।

‘আমাদের উপমহাদেশে, আমাদের বঙ্গোপসাগরে যেন সে রকম দূষণ না হয় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। এটি দূষণমুক্ত রাখার পাশাপাশি এই সম্পদটা আমরা কীভাবে কাজে লাগাব সেটাও চিন্তা করতে হবে।’

দেশের নদীগুলোকে দূষণ থেকে রক্ষার নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান। যত্রতত্র শিল্প-কারখানা যেন না হয় সে জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নদী-খালগুলো সচল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে যে বাংলাদেশ নদীমাতৃক। মানুষের শরীরে যেমন শিরা-উপশিরা থাকে, নদীগুলোও তেমনই আমাদের দেশের জন্য শিরা-উপশিরা।’

নদীর নাব্য ধরে রাখার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথমে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে সেগুলোর নাব্য বাড়াতে হবে। পাশাপাশি সেগুলো রক্ষণের জন্য প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। বদ্বীপটাকে রক্ষা করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা উন্নত জীবন দেওয়া আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার।’

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জোয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর