জ্বরে ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বেশ কয়েক দিন ধরে এমন শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, জ্বরের মাত্রা খুব বেশি না। তিনি মোটামুটি সুস্থ। কয়েক দিনের মধ্যে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হতে পারে।
রোববার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমিও আপনার মতো শুনেছি ম্যাডামের জ্বরের বিষয়টি। তবে বিস্তারিত চিকিৎসকরা বলতে পারবেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের একজন সদস্য বলেন, ‘তাপমাত্রা একটু এদিক-সেদিক হলে ওনার মতো বয়সীদের শরীরে জ্বর আসাটাই স্বাভাবিক। এটা সিরিয়াস কিছু না। সিজনাল জ্বর।’
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম রাজি হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হতে পারে। যেটা আগেও করা হয়েছিল।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসক দলের সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এ জেড এম জাহিদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বেশ কয়েক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এখন পর্যন্ত পাঁচবার খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়াকে। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা হয় ৭ বছর। সেই থেকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারেই থাকতে হয় তাকে। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।