বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণ-মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

  •    
  • ২২ মে, ২০২২ ১২:৩০

পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘আসামিরা মানবপাচার দলের সদস্য। তারা কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও ভারতে পাচার করেন।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে তিন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে শনিবার দুপুর থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন আশরাফুল ইসলাম ভুটুয়া, মোকছেদুল হক ও চম্পা বেগম।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আসামিরা মানবপাচার দলের সদস্য। তারা কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও ভারতে পাচার করেন। তাদের ধর্ষণ ও মানবপাচার আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার আদালতে নেয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ২১ মে ধর্ষণ ও মানবপাচারের অভিযোগে পাঁচজনের নামে পাটগ্রাম থানায় মামলা করেন এক নারী।

মামলার বরাতে পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র রায় জানান, তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর আয়ুশকান্দি এলাকার সোহেল মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওই নারীর। একপর্যায়ে ২০২১ সালের মার্চে ওই নারীকে অবৈধপথে কলকাতায় নিয়ে যান সোহেল।

সেখানে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করেন ও যৌনপেশায় নামতে বাধ্য করেন।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এরপর সোহেলও দেশে ফিরে ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই নারী শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন।

কিছু দিন পর সোহেল ভারতে কাজের জন্য পাঠানোর কথা বলে তার স্ত্রীকে ভুটুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। ১২ মে ভুটুয়ার সঙ্গে ওই নারী হবিগঞ্জ থেকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌঁছান। সেখানে চম্পা তাদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। তার বাড়িতে মোকছেদুলও আসেন।

মোকছেদুল ওই নারীকে দহগ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ১৩ মে ভুটুয়া ও মোকছেদুল তাকে নিয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যান।

এজাহারে আরও বলা হয়, ভারতের গণেশ কিষান নামের একজনের বাড়িতে ওই নারীকে রেখে ভুটুয়া ও মোকছেদুল চলে আসেন। গণেশ তাকে শিলিগুড়ি নিয়ে যান। সেখানে আরও কয়েকজন মিলে তাকে কলকাতার সুকুমারের কাছে নিয়ে যায়। সুকুমার তাকে একটি হোস্টেলে রাখেন।

ওই নারী তখন ভুটুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি দেশে ফিরে টাকা দেয়ার কথা জানান।

এরপর ওই নারী গনেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পালিয়ে শিলিগুড়ি আসেন। সেখানে থেকে গণেশ তাকে ১৫ মে সন্ধ্যার দিকে সীমান্তের কাছে নিয়ে আসেন। এরপর দহগ্রামের ফরিদুলের বাড়ি পৌঁছে দেন।

ফরিদুল তাকে নিয়ে যান চম্পার বাড়ি। সেখানে টাকা শোধ করার জন্য সোহেলসহ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে টাকা জোগাড় না হলে ভুটুয়া তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের শর্ত দেন। ওই দিন রাতে তাকে আবারও ধর্ষণ করা হয়।

এরপর তিনি পালিয়ে পাটগ্রাম থানায় আশ্রয় নেন ও মামলা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর