পদ্মা সেতু ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে আর কয়েক দিন বাকি। জুনের শেষ সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের এই সেতু উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ১৫ বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসবে।
শনিবার দুপুরে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে উগ্রবাদ প্রতিরোধে মতবিনিমিয় সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, জুনের শেষ সপ্তাহের মধ্যে পদ্মা সেতু ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে। শেষ সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করবেন। পদ্মা সেতু চালু হলে প্রথম দিকে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে জিডিপি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ২৫ বছর লাগবে না, ১৫ বছরের মধ্যেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসবে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে পদ্মা সেতু যানবাহন বোঝাই অবস্থায় থাকলেও কোনো ক্ষতি হবে না। এমনকি পাঁচ হাজার টন ধারণক্ষমতার জাহাজের ধাক্কায়ও পদ্মা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও পদ্মা সেতু করতে সহযোগিতা করেছেন এই এলাকার মানুষ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ও দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন সরকারের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, বিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে। এক দিনের তেল, গ্যাস দিয়ে দুই দিন রান্না করতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনিতিতে মন্দা তৈরি হয়েছে। এখন থেকেই আমাদের সতর্ক হতে হবে এবং দেশবাসীকে বিষয়টি বোঝতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট দিয়ে চলতে হবে। নয়তো বিপদে পড়তে হবে।
সচিব বলেন, ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় শিগগিরই তেলের ঘাটতি পূরণ হবে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আয়োজনে উগ্রবাদবিরোধী মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে বেলা ১১টায় আকাশপথে ঢাকা থেকে শরীয়তপুর যান মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, র্যাবপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।