বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রৌমারীতে মা-শিশুকে গলা কেটে হত্যা

  •    
  • ২১ মে, ২০২২ ২০:৩৯

পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর ৬টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে প্রতিবেশী আব্দুর সবুরের পুকুরের পুব পাশের ধানক্ষেতে হাবিবের মরদেহ এবং তার মা হাফসাকে গলাকাটা অবস্থায় পান স্থানীয়রা। তাদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক হাফসাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। পথেই তার মৃত্যু হয়।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পাঁচ মাস বয়সের হাবিব ও তার মা হাফসা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর হাজিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হাফসা আক্তার রৌমারীর শৌলমারী ইউনিয়নের ওকড়াবান্দা গ্রামের দিনমজুর সাহেব আলীর স্ত্রী।

এলাকাবাসীর বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর ৬টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে প্রতিবেশী আব্দুর সবুরের পুকুরের পুব পাশের ধানক্ষেতে হাবিবের মরদেহ এবং তার মা হাফসাকে গলাকাটা অবস্থায় পান স্থানীয়রা। তাদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক হাফসাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। পথেই তার মৃত্যু হয়।

প্রতিবেশী আব্দুর সবুর বলেন, ‘ভোরে পুকুরপাড়ের ধানক্ষেতে গোঙরানির শব্দ শুনে এগিয়ে দেখি হাফসা গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছেন। তার পাশেই গলাকাটা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।’

তিনি জানান, রৌমারী থানায় খবর দিলে পুলিশ শিশুর মরদেহ ও হাফসাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।

হাফসার বাবা রৌমারীর সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর গ্রামের আব্দুর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘হাফসার সঙ্গে রৌমারীর শৌলমারী ইউনিয়নের ওকড়াবান্দা গ্রামের দিনমজুর সাহেব আলীর দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ে পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। পাঁচ মাস আগে তাদের ঘরে একটি ছেলেসন্তান জন্ম নেয়। হাফসার সন্তান প্রসব আমাদের বাড়িতেই হয়। তারা আমার বাড়িতেই থাকে। সাহেব আলী তার সন্তানের খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি।

আব্দুর রশিদ আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে অসুস্থ নাতি হাবিবকে নিয়ে হাফসা শৌলমারী ইউনিয়নের ওকড়াবান্দা গ্রামে তার উকিল বাবা জাকির হোসেনের বাড়িতে যায়। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে নৌকায় কুড়িগ্রাম গিয়ে শিশুকে ডাক্তার দেখানোর কথা।

‘এর পর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। শনিবার সকালে মেয়ে ও নাতির দেহ পড়ে ছিল আমার বাড়িতে আসার পথের একটি পুকুরপাড়ে ধানক্ষেতে।’

ঘটনার পর থেকে সাহেব আলী পলাতক রয়েছেন।

রৌমারী থানার ওসি মুন্তাছের বিল্লাহ জানান, শিশু ও মায়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রোববার কুড়িগ্রাম মর্গে নেয়া হবে। হাফসার স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর