সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে হেফজখানায় ‘বলাৎকারের শিকার’ ১১ বছরের শিক্ষার্থীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।
বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহার শনিবার দুপুরে এই জবানবন্দি নেন। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শুক্রবার রাতে তাকে বলাৎকারের অভিযোগে মামলা হয়। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ঘটনা পর পরিবার নিয়ে পলাতক আছেন অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাদ।আবু সাদের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার জাহাজঘাটা গ্রামে। তিনি জাফরপুর গ্রামের হেফজখানার (সাইনবোর্ডবিহীন) একমাত্র শিক্ষক।
মামলা বাদী জানান, তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। আট মাস আগে ১১ বছরের ছোট ছেলেকে জাফরপুর গ্রামের হাফেজ আবু সাদ পরিচালিত হেফজখানায় মাসিক এক হাজার টাকা বেতনে ভর্তি করান।তার অভিযোগ, হেফজখানায় ভর্তির কিছুদিন যেতে না যেতেই তার ছেলে বলাৎকারের শিকার হন। বিষয়টি কাউকে জানালে তার ছেলে খুন করে ফেলার হুমকি দেন শিক্ষক। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বুধবার বলাৎকারের বিষয়টি তাকে ও পরিবারের সদস্যদের জানায় ছেলেটি। বিষয়টি তিনি বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউপি সদস্য এনাম হোসেন ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোটকে জানান। ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য এনাম তাকে ও তার ছেলেকে থানায় নিয়ে যান।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান,মৌখিক অভিযোগ পেয়ে এসআইকে পাঠানো হয়েছিল। তবে পুলিশ কর্মকর্তা পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্ত শিক্ষক সটকে পড়েন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। একমাত্র আসামি সাদকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ছাড়া ২২ ধারায় শিশুর জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য শনিবার বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। সাতক্ষীরা আদালতের পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান জানান, সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহারের আদালতে শিশুর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। পরে বিচারিক হাকিম তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট জানান, তিন মাস ধরে ওই শিক্ষক জাফরপুর গ্রামের স্থানীয় আব্দুল গফফারের বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে হেফজখানা হিসিবে পরিচালনা করে আসছেন। বলাৎকারের অভিযোগ পেয়ে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।