বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাটার আগেই ডুবল ৫০০ একর জমির ধান

  •    
  • ২১ মে, ২০২২ ১৮:৪৩

কংস, ধলাই প্রভৃতি নদী বা খাল দিয়ে উজান থেকে ধেয়ে আসছে পাহাড়ি ঢলের পানি। এ কারণে নিম্নাঞ্চলে পানির চাপ বেড়েছে। গত দুদিনে সিংধা ইউনিয়নের কালিজানা বিল ও ভাটিপাড়া এলাকার অন্তত ৫০০ একর বোরো জমি তলিয়ে গেছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের কালিজানা বিল এবং ভাটিপাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ বোরো ফসল তলিয়ে গেছে।

বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম এ পর্যন্ত ১৭৫ একর জমি প্লাবিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বলেন, ‘এসব জমির মাত্র ২০-৩০ শতাংশ ধান কাটার বাকি।’

সিংধা গ্রামের মুখলেছ মিয়া ও ভাটিপাড়া গ্রামের কৃষক তমাল আজাদ জানান, তিন-চার দিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। একটুও রোদ উঠছে না।

কংস, ধলাই প্রভৃতি নদী বা খাল দিয়ে উজান থেকে ধেয়ে আসছে পাহাড়ি ঢলের পানি। এ কারণে নিম্নাঞ্চলে পানির চাপ বেড়েছে। গত দুদিনে সিংধা ইউনিয়নের কালিজানা বিল ও ভাটিপাড়া এলাকার অন্তত ৫০০ একর বোরো জমি তলিয়ে গেছে।

কৃষকরা জানান, কালিজানা ও ভাটিপাড়া এলাকায় আশিয়ল, রামের গেরিয়া, গেরিয়া, সিংধা, ভাটিপাড়া, বানিয়াগাঁও, বাসাউড়া, বেঙ্গালা, পাগলী, বাবনীকোনাসহ অন্তত ১২টি গ্রামের কৃষকদের জমি রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব জমির প্রায় ৪০ শতাংশ ধান কাটা হলেও ৬০ শতাংশ ধান এখনও কাটার বাকি।

তমাল আজাদ বলেন, ‘আমার প্রায় দুই একর জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে।’

আশিয়ল গ্রামের কৃষক মক্রম আলী বলেন, ‘আমার তলিয়েছে অন্তত পাঁচ একর জমি।’

কৃষকদের অভিযোগ, এলাকায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য এলাকার শ্রমিক এনে দৈনিক হাজার টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হচ্ছে।

বাবনীকোনা গ্রামের সঞ্জু মিয়া বলেন, ‘এখনও যেসব জমির ধান জেগে গেছে, শ্রমিকরা কেবল সেসব জমিরই ধান কাটছেন। সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে যাওয়া জমির ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না।’

বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘অতিবৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর