বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা মনসুর আহমেদ ও তার অন্যতম সহযোগী মহসিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শুনানি শেষে শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন।
এর আগে ১৮ মে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। ওইদিন পুলিশ দুই আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পল্টন থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম রিমান্ডের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামি হলেন প্রতারক চক্রের মূলহোতা মনসুর আহমেদ এবং তার অন্যতম সহযোগী মহসিন চৌধুরী।
জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের যৌথ অভিযানে ১৭ মে রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, মনসুর আহমেদ ও মহসিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দলিল ও ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রে পাঁচ-সাতজন সদস্য রয়েছে। চক্রের মূলহোতা মনসুর।
চক্রটি প্রায় তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতারিত করে আসছিল।