বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা।
নগরীর আমবাগান আবহাওয়া অফিসে শনিবার মধ্যরাত থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মফিজুর রহমান।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরে বৃষ্টিপাত ছিল ২৬ মিলিমিটার, তবে ১১টা পর্যন্ত তা বেড়েছে ৩৮ মিলিমিটারে। এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত, এই সময়ে এমনিতেই বৃষ্টি হওয়ার কথা।’
নগরীর ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, চকবাজার, হালিশহর, অক্সিজেন, চাঁদগাঁও ও বহদ্দারহাট এলাকায় বিভিন্ন স্থানে হাঁটু থেকে কোমর পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া সাধারণ মানুষ।
নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম আনিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু বের হওয়ার পর থেকে দেখি ২ নম্বর গেটে এক কোমর পানি। এতে রিকশা ও ভ্যান পানি পার করাতে ভাড়া নিচ্ছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ১০০ টাকায় পার হয়েছি।’
চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. তাশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি জরুরি প্রয়োজনে সকালে কর্ণফুলী ব্রিজে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় পানি থাকার কারণে সড়কে গাড়ি খুব কম ছিল। এ ছাড়া রিকশা, অটোরিকশাগুলোও ভাড়া নিচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ। এতে আমার মতো অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।’
টানা বৃষ্টিতে পানি জমেছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সামনেও। এতে পানি ভেতরে প্রবেশের আশঙ্কায় নিচতলার শিশু ওয়ার্ড, অভ্যর্থনা কক্ষ, বহির্বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ ও ক্যানসার ইউনিট নতুন বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক।