রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ জট তৈরি হয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার দৌলতদিয়ার দুটি ঘাট বন্ধ থাকার প্রভাবে এমন অবস্থা।
ঘাট এলাকায় শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিন কিলোমিটারজুড়ে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসের সারি এবং ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে তিন কিলোমিটারজুড়ে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের সারি।
পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসগুলোর ফেরিতে উঠতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো অপেক্ষা করছে এক থেকে দুই দিন।
কুষ্টিয়া থেকে আসা ট্রাকচালক আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমি গতকাল থেকে এখানে আটকে আছি। শুনেছি ঘাট নষ্ট। এক দিন পার হয়ে গেল ফেরি পার হতে পারলাম না। রাতে ও সকালে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বসে আছি। ফাঁকা রাস্তায় এভাবে থাকা যায়?’
আরেক ট্রাকচালক শান্ত মণ্ডল বলেন, ‘কালকে ঘাট এলাকায় এসে পৌঁছেছি। আজকেও ঘাটে যেতে পারলাম না। কখন ফেরি পার হতে পারব বুঝতে পারছি না।
‘এই ফাঁকা রাস্তায় হোটেল নাই, বাথরুম নাই। কীভাবে এত সময় থাকা যায়? এভাবে একটা মানুষ থাকতে পারে? আমাদের ভোগান্তির শেষ নাই।’
সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ফেরির অপেক্ষায় আছেন সৌরভ হাসান।
তিনি বলেন, ‘মাঝরাত থেকে জ্যামে আটকে আছি। আর কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরিতে উঠতে পারব মনে হচ্ছে। সকাল ৮টার দিকে ঢাকায় পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে দুপুরের মধ্যেও পৌঁছাতে পারব না।’
যানজটের বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘পদ্মা নদীতে হঠাৎ পানি বাড়ায় ১৬ ঘণ্টা দুটি ঘাট বন্ধ ছিল। বিকেল ৪টার দিকে ঘাটগুলো চালু হলে যান চলাচল শুরু হয়। তবে এর মধ্যে লম্বা সিরিয়াল তৈরি হয়ে গেছে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও বাস পারাপার করছি।’