জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে সব রাজনৈতিক দলের মতামতে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন চরমোনাই পির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এ ছাড়া নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না বলেও সরকারকে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, মদের বিধিমালা বাতিল, পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচন বন্ধসহ ইসলামিক আদর্শে রাষ্ট্র গঠনে ১৫ দফা দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে এমন দাবি করেন চরমোনাই পির।
শুক্রবার বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে চরমোনাই পির আরও দাবি করেন, পরবর্তী সরকার ক্ষমতাগ্রহণের আগ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনসহ জাতীয় নির্বাচনের দিন সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
সমাবেশে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার নেতাকর্মী দলে দলে অংশ নেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায় কানায় ভরে ওঠে সমাবেশস্থল।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি চরমোনাই পির ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
এ সময় বক্তারা সরকারের নানা সমালোচনা করে অভিযোগ করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে মেগা প্রকল্পের নামে ক্ষমতাসীনরা হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। ১১৬ জন আলেম ওলামাকে বিতর্কিত করে ইসলামকেই হেয় করছে।
এ ছাড়া পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামি শিক্ষা বাদ দিতেও সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
বক্তারা জানান, সমাবেশে যোগদানের জন্য পিরোজপুর জেলা শাখার আওতাধীন উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিট শাখা থেকে প্রায় ১০৮টি পরিবহন বাস রিজার্ভের কথা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা বাস মালিক সমিতি হঠাৎ সব রিজার্ভ করা গাড়ি বাতিল করে নেতাকর্মীদের বায়না টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে বাস মালিক সমিতি দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে প্রশাসনের ওপর আর প্রশাসন দোষ চাপাচ্ছে বাস মালিক সমিতির ওপর।
সমাবেশে যোগদানে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আরও নানাভাবে বাধা দেয়া হয়েছে দাবি করে বক্তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তাদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান অন্যতম।