বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে ইভিএম পরীক্ষার উদ্যোগ

  •    
  • ২০ মে, ২০২২ ১৯:৪২

এক দশক ধরেই বাংলাদেশে ব্যালটের ভোটের বদলে যন্ত্রের ভোটের প্রচলন করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। তবে এই যন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আপত্তি আছে। তাদের দাবি, এই যন্ত্র দিয়ে দূর থেকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যন্ত্রগুলো পরীক্ষা করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে একাধিকবার আহ্বানও জানানো হয়েছে। তবে কেউ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেনি।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির মুখে এবার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেটি পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, যারা এই মেশিনগুলো পরীক্ষা করবেন, তাদের তালিকা করা হয়েছে। জুনের মধ্যে সেই বিশেষজ্ঞ দল আসবে।

মানিকগঞ্জে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অন্তত ১০০ আসনে ইভিএমে ভোট নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে যে আগামী নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে।

এক দশক ধরেই বাংলাদেশে ব্যালটের ভোটের বদলে যন্ত্রের ভোটের প্রচলন করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। তবে এই যন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আপত্তি আছে। তাদের দাবি, এই যন্ত্র দিয়ে দূর থেকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যন্ত্রগুলো পরীক্ষা করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে একাধিকবার আহ্বানও জানানো হয়েছে। তবে কেউ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেনি।

এবার বিশেষজ্ঞ দলকে নিয়ে ইভিএম পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘ইভিএম বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ আমরা দ্রুত তাদের আমন্ত্রণ জানাব। ইতোমধ্যে আমাদের তালিকাও হয়ে গেছে। আগামী জুনের মধ্যে ইভিএম পরীক্ষার বিশেষজ্ঞ টিম আসবে।’

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে কত আসনে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে কোনো চিন্তাভাবনা নেই বলে জানান তিনি। বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন। আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে, সেগুলো দিয়ে ১০০ থেকে ১২০ কেন্দ্রে ভোট নিতে পারব। এর চেয়ে বেশি নেয়া সম্ভব না।

‘কিছু রাজনৈতিক দলের ইভিএম নিয়ে আস্থা-অনাস্থা ও আপত্তি আছে। তাই ৩০০ আসনে আমরা ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করতে পারি না।’

তিনি দাবি করেন, ইভিএম ব্যবহার করে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটি নিয়ে আপত্তি ওঠেনি। বরং ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নিতে তাদের কাছে আবেদন এসেছে।

তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তার জোটের আপত্তি কেবল ইভিএম নিয়ে নয়। তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার চায়, পাশাপাশি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বদলে নতুন নির্বাচন কমিশনও চায়।

বিএনপি ও সমমনাদের এই অবস্থানের কারণে ২০১৪ সালের পর আবার আগামী নির্বাচনের অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সব দলকে ভোটে আনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কোনো উদ্যোগ থাকা সম্ভব নয় বলে মনে করেন কমিশনার মো. আলমগীর। বলেন, ‘রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসা বা না নিয়ে আসা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। রাজনৈতিক দল বা সরকারের সঙ্গে এগুলো সংশ্লিষ্ট। নির্বাচন কমিশনের কাজ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন করা। সে প্রস্তুতি আমরা নেব।’

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও জেলা পরিষদের প্রশাসক গোলাম মহীউদ্দীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর