প্রায় ১৫ দিন ধরে টানা পানি বাড়ার পর অবশেষে ভাটার টান পড়েছে সুরমায়। সিলেটের এই প্রধান নদীর পানি শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও প্রতিটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি বইছে।
আর কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসীদ পয়েন্টে কমলেও বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) শুক্রবার বেলা ৩টায় এ তথ্য জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, উজানে বৃষ্টি কমলে নদীর পানি অব্যাহতভাবে কমতে থাকবে। প্লাবিত এলাকা থেকেও পানি নেমে যাবে।
জেলায় শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও দুপুর থেকে রোদ হেসেছে। নগরের জলমগ্ন কয়েকটি এলাকার পানিও কিছুটা কমেছে। তবে প্লাবিত উপজেলাগুলোর পরিস্থিতি একই রকম। ফেঞ্চুগঞ্জে পানি কিছুটা বেড়েছে।
শুক্রবার বেলা ৩টায় পাউবোর দেয়া হিসাবে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাটে ১২ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে।
পাউবো জানিয়েছে, কুশিয়ারা নদীর পানি অমলসীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৮ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এই সময়ে ফেঞ্চুগঞ্জে ১৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
কিছুটা কমেছে লোভা, সারি ও ধলাই নদীর পানিও।
পাউবো সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা নিউজবাংলাকে জানান, উজানে বৃষ্টি না হলে পানি আরও কমবে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে জকিগঞ্জের অমলসীদে একটি বাঁধ ভেঙে নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুশিয়ারার পানি কমতে থাকলেও তা ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ হয়ে নামবে। ফলে ওই এলাকায় পানি বাড়ছে। এই দুই উপজেলার কিছু এলাকা প্লাবিতও হতে পারে।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় গত ১১ মে থেকে। এর কয়েক দিন আগে থেকে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ১৫ লাখ মানুষ।