বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রমিককে হত্যার মামলায় কারাগারে আসামি

  •    
  • ২০ মে, ২০২২ ১৭:০৪

এজাহারে বলা হয়েছে, স্বজনরা আনোয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যান। গত মঙ্গলবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিলেও বাদী জানায়, অর্থ সংকটের কারণে আনোয়ারকে আবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার রাতে তিনি মারা যান।

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইটভাটার শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামগতি আমলি আদালতের বিচারক নুসরাত জামান শুক্রবার সকালে আসামি খবির মাঝিকে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে খবির মাঝি ও তার ভাই ইটভাটার মালিক খলিল মাঝিকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর খলিলকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ওসি জানান, নিহত শ্রমিক আনোয়ার হোসেনের বাবা আবদুস শহীদ শুক্রবার সকালে রামগতি থানায় তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে আটক খবিরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, খবির মাঝির ছেলে রিয়াজ হোসেন ও প্রতিবেশী সফিক উল্ল‍্যাহর ছেলে মো. ইব্রাহিম হোসেন।

এজাহারে বলা হয়, রামগতির চরআলগীর হাসান-হোসাইন এলাকার আনোয়ার হোসেন খাগড়াছড়ির দিঘীনালার কে বি ব্রিক্সফিল্ডে খলিল মাঝির ভাই খবির মাঝির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন। ছয় মাসের চুক্তি থাকলেও পাঁচ মাস করে বাড়ি চলে আসেন। পরে খবির ও খলিলের চাপে আবার সেখানে যান আনোয়ার। যাওয়ার পর খবির তাকে সেখানে মারধর করলে ৪ দিন কাজ করে গত ১ মে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। পরদিন খলিলের চরআলগীর ইটভাটার অফিসে তাকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, স্বজনরা আনোয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যান। গত মঙ্গলবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিলেও বাদী জানায়, অর্থ সংকটের কারণে আনোয়ারকে আবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার রাতে তিনি মারা যান।

সে সময় বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, আনোয়ারের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

আনোয়ারকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাদী আবদুস শহীদ দাবি করেন, খলিল ও খবিরের হুমকিতে হাসপাতালে ভর্তি না করে আনোয়ারকে তারা বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা করান।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর