বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩ নদীর মোহনার বাঁধ ভেঙে সিলেটে বাড়ল পানি

  •    
  • ২০ মে, ২০২২ ১৩:০৯

বারোঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজা টিপু বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে রাত থেকে প্রবল বেগে এলাকায় পানি ঢুকছে। এতে বারোঠাকুরী, কসকনকপুর, কাজলশাহ সুলতানপুর ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে। এসব ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ৩৫ ফুট লম্বা বাঁধটি কয়েক দিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। স্থানীয়রা রাত-দিন চেষ্টা করে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।’

ভারতের আসাম থেকে বরাক নদী সিলেটের জকিগঞ্জের অমলসিদে এসে দুই ভাগ হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারায় পরিণত হয়েছে। তিন নদীর মোহনার এই অঞ্চলকে বলা হয় ‘বাংলাদেশের নাক’।

শুক্রবার মধ্যরাতে সুরমা ও কুশিয়ারার এই উৎসস্থলের একটি বাঁধ ঢলে ভেঙে গেছে। বিশাল এই বাঁধ ভাঙনের ফলে নতুন করে তলিয়ে গেছে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নতুন আরও লক্ষাধিক মানুষ।

বারোঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজা টিপু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে রাত থেকে প্রবল বেগে এলাকায় পানি ঢুকছে। এতে বারোঠাকুরী, কসকনকপুর, কাজলশাহ সুলতানপুর ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে। এসব ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩৫ ফুট লম্বা বাঁধটি কয়েক দিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। স্থানীয়রা রাত-দিন চেষ্টা করে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।’

স্থানীয় সাংবাদিক শ্রীকান্ত পাল বলেন, ‘মধ্যরাতেই বাঁধ ভাঙার খবর এলাকার মসজিদগুলোর মাইকে প্রচার করা হয়। এতে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়।’

এই বাঁধ ভাঙার কারণে সুরমা-কুশিয়ারার তীরবর্তী জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট নগরের পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জকিগঞ্জে তিন নদীর মোহনার বাঁধ ভাঙায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপসহকারী প্রকৌশলী নিলয় পাশা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের ৩০-৩৫টি জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। যে বেগে পানি আসছে, তাতে সবগুলো বাঁধই ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি না কমলে এগুলো সংস্কার করাও যাবে না।’

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ১৫ লাখ মানুষ।

জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী আউশ ধানের বীজতলা ২ হাজার ৪২১ হেক্টর, বোরো ধান ১ হাজার ৭০৪ হেক্টর ও গ্রীষ্মকালীন সবজি ১ হাজার ৩৩৪ হেক্টর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ৬৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে ও জেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিলেট জেলায় ৩২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রে ৭ হাজার ৩৪৯ মানুষ আছেন। তাদের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।’

এদিকে শুক্রবার সকালে নগরের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি, পানি কমেওনি। বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

এ বিভাগের আরো খবর