দুর্নীতির মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
তথ্য গোপন করার জন্য দুই বছর এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সোয়া ৫৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।এর আগে গত বুধবার একই আদালত জ্যোতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এদিন আদালত জানিয়ে দেয় বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণা হবে।
বগুড়া জেলা দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের বরাতে এই আইনজীবী বলেন, ‘দুর্নীতির দমন আইনের ২৬ এর (২) ধারায় আসামিকে দুই বছর জেল ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে। আর ২৭ এর (১) ধারায় পাঁচ বছর জেল দেয়া হয়। একই সঙ্গে এই ধারায় তাকে ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এ সময় জ্যোতির আইনজীবীদের পক্ষে জানতে চাওয়া হয়, আসামি সাবেক সংসদ সদস্য, সেক্ষত্রে তিনি জেলখানায় বিশেষ কোনো সুবিধার আওতায় আসবেন কি না?
জবাবে আদালত জানায়, জেল কর্তৃপক্ষ বিধি অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেবে। এরপর আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেয়।
এজাহারের বরাতে দুদকের আইনজীবী জানান, দুর্নীতির অভিযোগে নূর আফরোজের বিরুদ্ধে ৫৩ লাখ ২২ হাজার টাকা অবৈধ সম্পর্দ অর্জনের তথ্য পায় দুদক। একই সঙ্গে ২৮ লাখ টাকার তথ্যও গোপন করেছিলেন নূর আফরোজ।এই বিষয়টি অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে দুদক তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মামলা করে। এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।
১১ মে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি ছিল। এ দিন নূর আফরোজ বেগম জ্যোতির আইনজীবী সময় চান। আদালত সময় আবদেন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই সঙ্গে এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হয়।
নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা । তিনি অষ্টম জাতীয় সংসদের নারী আসন-১ থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।