বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিনেত্রী শিমু হত্যার প্রতিবেদন ২৬ জুন

  •    
  • ১৯ মে, ২০২২ ১৭:২৩

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল এদিন। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য আদালত নতুন এ দিন ধার্য করে।

অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ জুন দিন ঠিক করেছে আদালত।

ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিনের আদালত বৃহস্পতিবার নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল এদিন। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য আদালত নতুন এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০ জানুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও নোবেলের বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদকে রিমান্ড চলাকালীন হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই সময় আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আসামি নোবেল এবং ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে আসামি ফরহাদ জবানবন্দি দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

এর আগে ১৮ জানুয়ারি আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওইদিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার বাল্যবন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। মামলায় বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে পরিচয় মিলছিল না। পরে ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআইয়ের ঢাকা জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টার জন্য পিবিআইকে খবর দেয়া হলে পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার পর তার নাম-পরিচয়, বয়স ও বাসার ঠিকানা শনাক্ত করে পিবিআই।

চিত্রনায়িকা শিমুর মরদেহ রাখা হয় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) মর্গে। সেখানে যাওয়ার পরই শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে আটক করে র‌্যাব।

ওই সময় তাদের কাছ থেকে একটি রক্তমাখা প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়। পরে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করে র‌্যাব।

স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরদিন ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর