নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পাইলট স্কুলের পাশে একটি বাসায় গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান তিনি।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন। তার বয়স ৪০ বছর।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার ও ৯ বছরের ছেলে মো. রুহান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে চিকিৎসাধীন। আরেক ছেলে ১৭ বছরের রোমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গত ১০ মে ভোরের দিকে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত। দগ্ধ অবস্থায় তাদের চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ভর্তি করানো হয়।
আনোয়ারের বোন ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমার ভাই রিকশাচালক। সকালের দিকে উঠে ফ্রিজ থেকে সেমাই বের করে খাওয়ার সময় জানালা দিয়ে গ্যাসের বুদবুদ শব্দ শুনতে পায়, এর কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ একটি শব্দ হয়। আগুন লেগে যায়, পরে তার ছেলে ও স্ত্রীকে ডাকতে ডাকতেই পুরা রুমে আগুন লেগে যায়।
‘সবাইকে দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ আমার ভাই মারা যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা থানার নসুনপুর গ্রামে। আনোয়ার বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাইলট স্কুলের পাশে পরিবার নিয়ে থাকতেন।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান। তার শরীরে ১৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
‘নিহতের স্ত্রী রোজিনার শরীরে ২৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে, তার ছেলে রুহান ৩৫ শতাংশ দগ্ধ ও রোমান ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’