প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় পাবনার সুজানগরে এক স্কুলছাত্রীকে হাতুড়িপেটার ঘটনায় জড়িতের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
উপজেলার সাতবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন করেন তারা।
এর আগে বুধবার বিকেলে ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাতবাড়িয়া কলেজের সামনে পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় এদিন রাতে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ফকিরপুর গ্রামের ১৭ বছরের এক কিশোরকে আসামি করে সুজানগর থানায় মামলা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলাল উদ্দিন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্কুলছাত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই ছেলে আমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। সে প্রায়ই স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত।
‘বুধবার স্কুল ছুটির পর আমার বান্ধবীদের সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার পথে সাতবাড়িয়া কলেজের সামনে আবারও নানা ধরনের প্রস্তাব দিতে থাকে। আমি এতে রাজি না হওয়ায় রাস্তা থেকে টেনে পাশে নিয়ে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। এ সময় আশপাশের লোকজন এলে সে পালিয়ে যায়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাল উদ্দিন বলেন, ‘এমন হামলার ঘৃণা জানিয়ে ওইদিন রাতে আমি নিজেই থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানাই।
‘আমার স্কুলে নয় শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। তাদের মধ্যে এক ধরনের ট্রমা কাজ করছে। আমরা কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক করারও চেষ্টা করছি’ যোগ করেন তিনি।
সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আঘাত গুরুতর হলেও এখন ওই শিক্ষার্থী আশঙ্কামুক্ত। আপাতত হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছে।’
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগির তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’