জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে ৩০ হাজার টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসের এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকায় সেবাগ্রহীতার কাছে এ টাকা দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি নতুনপাড়ার মিঠুন আলী নামের এক ব্যক্তি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মিঠুন আলী বলেন, ‘আমার দুলাভাই শান্তি মিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ও জন্ম তারিখ ভুল ছিল। তা সংশোধনের জন্য কয়েক দিন আগে অনলাইনে আবেদন করেন দুলাভাই। বুধবার বিকেলে আমি তার পরিচয়পত্র সংশোধনের বিষয়ে খোঁজ নিতে জেলা নির্বাচন অফিসে যাই। সেখানে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাইনুদ্দিন খাজা আমাকে মাধ্যমিক পাসের সনদের ফটোকপি দিতে বলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শান্তি মিয়া মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেননি। তাই তার অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ দেয়ার কথা বলি। তখন খাজা জানান, এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট ছাড়া এনআইডি সংশোধন সম্ভব নয়, তবে ৩০ হাজার টাকা দিলে সংশোধন করে দেয়া যাবে।
‘এভাবে একজন সেবাগ্রহীতার কাছে তিনি প্রকাশ্যে ঘুষ চান কীভাবে? ওই ঘটনার পর কোনো উপায় না দেখে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি’ বলেন অভিযোগকারী।
জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খাজা একটি প্রকল্পে নিয়োগ পেয়ে নির্বাচন অফিসে কাজ করছেন। মূলত তার কর্মস্থল দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসে। আমি মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
‘টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে অফিসে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। আমি অফিসে না থাকার সুযোগে এমনটি ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘জেলা নির্বাচন অফিসে সেবাগ্রহীতার কাছে কর্মচারীর অর্থ দাবির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি আমি নিজে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’