চুয়াডাঙ্গার সদরে কম মজুরিতে কাজে না যাওয়ায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী হায়াত আলী।
উপজেলার জালশুকা গ্রামে বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ নিউজবাংলাকে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত ৬৫ বছর বয়সী হায়াত আলীর বাড়ি একই গ্রামের মাঠপাড়ায়। অভিযুক্তরা হলেন শঙ্করচন্দ্র গ্রামের আনসার ক্যাম্পপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন ও তার ছেলে ওবায়দুল হক।
ভুক্তভোগী হায়াত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে তোফাজ্জেল তার পাটক্ষেতের জমিতে কাজ করার জন্য বলেন। আমি ৪০০ টাকা মজুরি চাইলে তোফাজ্জেল ৩৫০ টাকা দিতে চান। কিন্তু আমি কম মজুরিতে কাজে যেতে রাজি হইনি।
‘বুধবার রাতে এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় তোফাজ্জেল ও তার ছেলে ওবায়দুল আমাকে দোকানের বাইরে ডেকে নিয়ে যান। বাইরে আসতেই কাজে কেন যাইনি জিজ্ঞেস করে বাঁশ ও চেলাকাঠ দিয়ে আমাকে পিটিয়ে জখম করে তারা। পরে পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।’
হায়াতের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তোফাজ্জেল হোসেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘হায়াত আলী ৩৫০ টাকা মজুরিতে কাজে যেতে রাজি হন। কিন্তু পরে অন্য জায়গায় বেশি মজুরি পেয়ে কাজে চলে যান। এতে আমার একজন শ্রমিক কম হওয়ায় কাজে বিঘ্ন ঘটে।
‘আমি তাকে কাজে কেন যায়নি জিজ্ঞেস করতেই গালিগালাজ করেন। পরে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। তাকে মারধর করা হয়নি।’
আহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মার্ভিন অনিক চৌধুরী বলেন, ‘এক্স-রে করার পর বোঝা যাবে কোনো হাড় ভেঙেছে কি না? আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী হায়াত আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’