বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত দেশটির পূর্ব রেলের মহাব্যবস্থাপক ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েকে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় রেলের এই সিদ্ধান্ত চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশে রেলওয়েকে জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আগামী ২৯ মে থেকে ঢাকা থেকে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ জুন থেকে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।
গত বছর ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করেন। ওই দিন ট্রেনটি চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করে। তবে করোনা মহামারির কারণে ট্রেনটি এত দিন নিয়মিত চলাচল শুরু করতে পারেনি।
ভারতীয় রেলের চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের হাইকমিশন, ঢাকা ও বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয় ক্রস বর্ডার যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালুর জন্য অনুরোধ করেছে। সেই অনুযায়ী বিআর রেক দ্বারা ঢাকা থেকে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং আইআর রেক দ্বারা কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস পুনরায় চালু করার প্রস্তাব করেছে।
এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছিল, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল দুই দেশের যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ। বন্ধ ছিল দুই দেশের পর্যটন ভিসা প্রক্রিয়াও। পরে শুধু ব্যবসা, শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুদেশে জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকদের চলাচল করছিলেন।
গত ২৩ মার্চ ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তর্দেশীয় মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে দুই দেশের নিয়মিত পর্যটন ভিসা চালু হলেই বন্ধ ট্রেনগুলো চালু করা হবে বলে মত দেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা।