বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশ্ন ফাঁস চক্রের আরও ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ২২:৫৭

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাৎ হোসেন সুমা বলেন, ‘পরীক্ষার দিন এক পরীক্ষার্থীসহ দুজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা হলেন সুমন জমাদ্দার ও সাইফুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে এই দুজন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, উত্তর তৈরি ও পাঠানোর কাজে জড়িত অনেকের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে জবানবন্দি দেন।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নিয়োগের এমসিকিউ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় চক্রের আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

রাজধানীর ওয়ারী ও মগবাজার এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, নওসাদুল ইসলাম, আহসানুল হাবীব ও রাশেদুল ইসলাম।

ওই সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাৎ হোসেন সুমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরীক্ষার দিন এক পরীক্ষার্থীসহ দুজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা হলেন সুমন জমাদ্দার ও সাইফুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে এই দুজন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, উত্তর তৈরি ও পাঠানোর কাজে জড়িত অনেকের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে জবানবন্দি দেন।

‘সেই সূত্র ধরে আমরা তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে ওয়ারী থানাধীন কে এম দাস লেন এলাকা থেকে নওসাদুল ও হাবীবকে গ্রেপ্তার করি। আরেক আসামি রাশেদুলকে রমনা থানাধীন বড় মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার করি।

‘হাবীব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী, নওশাদুল ইসলাম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ছাড়া কিছু সরকারি কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা।

এর আগে গত শুক্রবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নিয়োগের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ১ লাখ ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

পরীক্ষার্থী ও পদের সংখ্যার বিবেচনায় প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। লালবাগ থানাধীন ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা চলার সময় একজন পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা প্রবেশ পত্রের পেছনে লেখা উত্তর পাওয়া যায়।

পরীক্ষার হলে দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা দুটি প্রবেশ পত্র পান। এগুলো যাচাই করে দেখা যায় প্রবেশ পত্রের পেছনে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর ছোট করে লেখা।

প্রাথমিকভাবে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এরপর কর্তৃপক্ষ ডিবি তেজগাঁও বিভাগকে বিষয়টি জানালে সুমন জমাদ্দার নামের ওই পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আগে থেকে ঠিক করে রাখা একটি মোবাইল নম্বরের হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করে পরীক্ষা শুরুর ৪২ মিনিট আগে তার কাছে সব প্রশ্নের উত্তর চলে আসে।

সুমন আরও জানান, ৫-৬ জনের একটি চক্র এই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত।

এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়। লালবাগ থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা হলে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর