বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কার হাতে যাচ্ছে গাজীপুর আ.লীগের দায়িত্ব?

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ২১:৩৩

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ঘুরে ফিরে আলোচনা একটাই। কারা আসছেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে? বিশেষ করে শীর্ষ দুই পদকে নিয়েই সবার আগ্রহ।

প্রায় দুই দশক ধরে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্মেলন হয় না। সেই সম্মেলনের অপেক্ষা ফুরাচ্ছে। বৃহস্পতিবার জেলার ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।

সম্মেলনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। পুরো জেলাজুড়ে সম্ভাব্য নেতা ও তাদের অনুসারীরা তৈরি করেছেন নানা ধরনের ফেস্টুন, ব্যানার।

শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ি ময়দানে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে সম্মেলনের জন্য। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি থাকবেন।

সম্মেলনের প্রস্তুতি এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। রাত পোহালেই দলে দলে নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন সম্মেলনে।

সম্মেলন উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ছবি দিয়ে বিলবোর্ড সাঁটিয়েছেন। বিশেষ করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর শহরের রাজবাড়ি ময়দান পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের উপরে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কিছু তোরণ।

আর সড়কের দুই পাশে শত শত ব্যানার ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। পুরো শহর জুড়ে ব্যাপক উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ঘুরে ফিরে আলোচনা একটাই। কারা আসছেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে? বিশেষ করে শীর্ষ দুই পদকে নিয়েই সবার আগ্রহ।

ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা হচ্ছে নতুন ও পুরাতন নেতাদের আমলনামা নিয়ে। কারা নেতৃত্বে আসলে জেলা আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হবে তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।

গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সবশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯ বছর আগে, ২০০৩ সালের ২৯ জুন। ওই সম্মেলনে তৎকালীন গাজীপুর পৌরসভার মেয়র আ ক ম মোজাম্মেল হক সভাপতি এবং টঙ্গী পৌরসভার মেয়র আজমতউল্লাহ খান সাধারণ সম্পাদক হন।

তার প্রায় ১৩ বছর পর ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর সম্মেলন ছাড়াই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে পুনরায় সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০১৭ সালের ২২ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এরপর আর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি।

সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিভিন্ন জনের নাম নেতাকর্মীদের মুখে মুখে ফিরছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে তারা হলেন বর্তমান সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক, ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএস আখতারউজ্জামানের নাম।

মোজাম্মেল হক ছাত্রাবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন গাজীপুর মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি তিন বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৪ বার পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়র নির্বাচিত হন।

এ ছাড়া ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে গাজীপুর-১ আসন থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও সংসদ সদস্য হন।

সময় তিনি সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ৬ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ধর্মমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।

আখতারউজ্জামান ১৯৭৯-১৯৮১ পর্যন্ত ডাকসুর জিএস এবং ১৯৮২-৮৩ সালে ডাকসুর ভিপির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমানে গাজীপুরে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্যও ছিলেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম আলোচনা হচ্ছে তারা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমানত হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী রহমত আলীর ছেলে জামিল হাসান দূর্জয়, শ্রীপুর উপজেলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আরিফ।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপির বিরুদ্ধে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। ওই নির্বাচনে তাদের নির্বাচনি এলাকায় নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলু জানান, সভাপতি-সম্পাদক পদের জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও কারও পক্ষে সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণা করেছেন। সম্মেলনের দিন দ্বিতীয় অধিবেশনে আগ্রহী প্রার্থীদের নাম জানা যাবে। তবে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

এ বিভাগের আরো খবর