ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন এবং তার স্ত্রী তাছলিমা কাওছারের আয়ের যথার্থতা যাচাইয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটি বলছে, মেয়রের মাসিক আয় ৭৭ হাজার ৩৭৬ টাকা। তার স্ত্রীর আয় মাসে ২ লাখ ৪ হাজার ২২৮ টাকা। এ ছাড়া পাঁচ বছরে এই দম্পতি আয় করেছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৮২৫ টাকা।
এসব আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে হাঁস, মুরগি, কবুতর ও মাছ চাষ।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, খোকন ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ থেকে ২০২০-২০২১ করবর্ষ পর্যন্ত পাঁচ বছরে গাছ, মাছ, নারিকেল, সুপারি বিক্রি করে উপার্জন করেছেন ৪৬ লাখ ৪২ হাজার ৫৯১ টাকা। তার স্ত্রী ২০১৯-২০২০ করবর্ষ থেকে ২০২১-২০২২ করবর্ষ পর্যন্ত তিন বছরে গৃহপালিত হাঁস, মুরগি, কবুতর ও ব্যবসার মাধ্যমে ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা, মুরগির ফার্মের মাধ্যমে ৬ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, ডেইরি ফার্মের মাধ্যমে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা এবং মৎস্য চাষ থেকে ২৫ লাখ ২২ হাজার ৪০০ টাকা উপার্জন করেছেন।
চিঠিতে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রাপ্ত তথ্যাদি জানাতে অনুরোধ করা হয়।
খাতসমূহের ব্যবসার সঠিকতা ও যথার্থতা যাচাই করার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে তদন্ত টিম গঠন করতে সোনাগাজীর ইউএনওর কাছে চিঠি দিয়েছে দুদক।
চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ইউএনও এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। অনিবার্য কারণবশত বিলম্ব হচ্ছে। রমজান, ঈদের ছুটির কারণে যথাসময়ে করা যায়নি। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে খোকন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কত জনে কত জায়গায় ভুয়া অভিযোগ দিচ্ছে। বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে নির্বাচন এলে এসব ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
‘সম্প্রতি আমি জাতীয় নির্বাচন করব বলে ঘোষণা দিয়েছি। এ কারণে এসব ষড়যন্ত্র চলছে।’
স্ত্রীর সম্পদের বিষয়ে জানতে চাওয়ার আগে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আপনি আমার ব্যাপারে সব জানেন, দোয়া করবেন, এ কথা বলে ফোন রেখে দেন।’