বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল: ১৮ মাসের কাজে ৩ বছর পার

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১৯:৫৩

গণপূর্ত প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ মাসে ছয় তলা এ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কার্যাদেশ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুনে ভবনের কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। ৩৪ মাসেও শেষ করতে পারেনি কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ ও জিএম কনস্ট্রাকশন নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ছয় তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল ১৮ মাসে। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ।

পঞ্চম তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হলেও ভেতরের দরজা, জানালা, ইলেকট্রিক, পানির লাইন স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজের অধিকাংশই বাকি। চলতি সপ্তাহে ষষ্ঠ তলার ছাদের আংশিক ঢালাই দেয়া হয়েছে।

ধীরগতিতে নির্মাণকাজ চলায় আধুনিক চিকিৎসাসেবা পেতে জেলাবাসীকে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।

নির্দিষ্ট সময়ে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সুবিধাবঞ্চিত রোগীরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। একই সঙ্গে সেবা কার্যক্রম চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।

গণপূর্ত প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ মাসে ছয় তলা এ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কার্যাদেশ অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুনে ভবনের কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। ৩৪ মাসেও শেষ করতে পারেনি কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ ও জিএম কনস্ট্রাকশন নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কোহিনুর এন্টারপ্রাইজের প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছয় তলা এই হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় করোনা মহামারির সময়। তখন নির্মাণসামগ্রীর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। করোনাকালে শ্রমিক সংকটও ছিল বেশ। এ কারণে কাজের গতি ছিল কম। তবে শিগগিরই ভবনের কাজ শেষ হবে।’

কাজের ধীরগতির মধ্যেই আরও তিন তলা বাড়িয়ে ভবনের নবম তলা পর্যন্ত নকশা ও বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলার কাজের জন্য সম্প্রতি আরও ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সমরজিৎ সিং নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাঁচ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। অসমাপ্ত সব কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।’

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হলে আড়াই শ শয্যার সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেত। সেবার মানও বৃদ্ধি পেত। এখন তো ডাক্তার কম, রোগীর চাপ বেশি, তাই সেবা পেতে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এইচ এম জহিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আধুনিক সদর হাসপাতালটি ২০০৩ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার অনুমোদন পায়। তবে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলেছে চিকিৎসা কার্যক্রম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১০০ শয্যার জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

‘হাসপাতাল কম্পাউন্ডে বর্তমানে ২৫০ শয্যা ভবনের কাজ শেষ হওয়া দরকার। গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২৫০ শয্যার জন্য দ্রুত জনবল নিয়োগ দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর