বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় অতিবৃষ্টির জলাবদ্ধতাও দূর হবে আধা ঘণ্টায়: তাপস

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১৯:৪০

‘ড্রেনের মুখগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে, কালভার্ট ও খাল আমরা পরিষ্কার করেছি। ভূগর্ভস্থ যেসব ড্রেন রয়েছে সেগুলোও আমরা পরিষ্কার করেছি। আমরা আশাবাদী অতিবৃষ্টি হলেও ঢাকাবাসীকে আধা ঘণ্টার মধ্যেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম হবো।’

অতিবৃষ্টি হলেও ঢাকার জলাবদ্ধতা আধা ঘণ্টার মধ্যে দূর করতে পারবেন বলে আশার কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রাজধানীর শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলের ঈগলু পয়েন্ট এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়নকাজ পরিদর্শন শেষে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আগামী বছর থেকে শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, ঈগলু পয়েন্টে কারখানাসহ পুরো ৫৮ ও ৫৯ ওয়ার্ডজুড়ে যে শিল্পাঞ্চল রয়েছে সেখানে কী পরিমাণ জলাবদ্ধতা ছিল আপনারা জানেন। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ১৩৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ নিয়েছি এবং সংস্কার শুরু করেছি। এই কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আমরা আজ এখানে এসেছি।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘শিল্প কারখানার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করব যাতে এখানে শুধু স্বচ্ছ পানি আসে। কারখানার পয়বর্জ্য, দূষিত পানি যেন নতুন নির্মিত এই ড্রেনে না দেয়া হয়। কারণ, এটা দিলে বুড়িগঙ্গার পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ করব, আমরা অবকাঠামো যেটা নির্মাণ করেছি সেটার যেন কোনোভাবেই অপব্যবহার করা না হয়।’

যেসব কারখানা দূষণ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, ‘সেসব কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হব।’

তাপস বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এই শিল্পাঞ্চলের আমরা ২৬টি স্থান এবং পুরো ঢাকায় ১০০-এর বেশি স্থান চিহ্নিত করেছি। সেখানেও নিজস্ব অর্থায়নে এরকম বিভিন্ন ড্রেনেজ অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। সুতরাং এবার আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, এই অবকাঠামো উন্নয়নের সুফল ঢাকাবাসী পাবে। এছাড়াও আমাদের বিশাল কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।

‘ড্রেনের মুখগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে, কালভার্ট ও খাল আমরা পরিষ্কার করেছি। ভূগর্ভস্থ যেসব ড্রেন রয়েছে সেগুলোও আমরা পরিষ্কার করেছি। আমরা আশাবাদী অতিবৃষ্টি হলেও ঢাকাবাসীকে আধা ঘণ্টার মধ্যেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম হবো।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক সহ কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর